দিরিয়াহ, 10 ডিসেম্বর, 2024-অত্যন্ত প্রত্যাশিত বই "কিং সালমান" এর ইংরেজি সংস্করণটি গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে দুটি পবিত্র মসজিদের কাস্টোডিয়ানের বিশেষ উপদেষ্টা এবং আল-তুরাত ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি বোর্ডের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান প্রিন্স সুলতান বিন সালমান বিন আব্দুলাজিজ প্রকাশ করেছেন। দিরিয়াহ শিক্ষা অফিসের ফাউন্ডেশনের প্যাভিলিয়নে এই অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়, যা মর্যাদাপূর্ণ দিরিয়াহ গ্লোবাল সেমিনার 2024-এর স্থান হিসাবে কাজ করে। এই অঞ্চলের সাংস্কৃতিক ও উন্নয়নমূলক উদ্যোগের পিছনে একটি মূল সংস্থা দিরিয়াহ গেট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এই সেমিনারের আয়োজন করছে।
"কিং সালমান" বইটি দুটি পবিত্র মসজিদের রক্ষক, কিং সালমান বিন আব্দুলাজিজ আল সৌদের জীবনের একটি বিস্তৃত ভিজ্যুয়াল ক্রনিকল, যা 500 টিরও বেশি ফটোগ্রাফের একটি বিস্তৃত এবং সূক্ষ্মভাবে কিউরেটেড সংগ্রহের মাধ্যমে তাঁর অসাধারণ যাত্রা ধারণ করে। এই চিত্রগুলি রাজা সালমানের উল্লেখযোগ্য জীবনের প্রমাণ হিসাবে কাজ করে, রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতার নির্দেশনায় যুবক হিসাবে তাঁর প্রাথমিক বছরগুলি থেকে রাজ্যের বর্তমান ও ভবিষ্যত গঠনে তাঁর মূল ভূমিকা পর্যন্ত। বইটিতে তাঁর পারিবারিক জীবন, ব্যক্তিগত মাইলফলক এবং পেশাদার কর্মজীবনের একটি প্রাণবন্ত প্রতিকৃতি আঁকা হয়েছে, পাশাপাশি তাঁর রূপান্তরকারী নেতৃত্ব এবং অবদানের উপর আলোকপাত করা হয়েছে যা সৌদি আরব এবং বিশ্বে গভীর ছাপ ফেলেছে।
জীবনীটিতে আধুনিক সৌদি আরব প্রতিষ্ঠায় রাজা সালমানের সমালোচনামূলক জড়িত থাকার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে, যা স্থানীয় এবং বৈশ্বিক উভয় প্রেক্ষাপটে তাঁর উত্থানের উল্লেখ করে। মানবহিতৈষী কাজ, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রতি তাঁর গভীর প্রতিশ্রুতি তুলে ধরা হয়েছে, যা অসংখ্য ক্ষেত্রে তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বকে প্রদর্শন করে। উপরন্তু, বইটি সমাজকল্যাণ, সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং বিশ্ব মঞ্চে সৌদি আরবের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের মতো ক্ষেত্রে তাঁর সুদূরপ্রসারী প্রভাব প্রতিফলিত করে।
সৌদি আরামকোর সহায়তায় আল-তুরথ ফাউন্ডেশন দ্বারা প্রকাশিত, এই উল্লেখযোগ্য কাজের লক্ষ্য হল রাজা সালমানের উল্লেখযোগ্য উত্তরাধিকার এবং স্থায়ী প্রভাব উদযাপন করা। এটি সৌদি আরবের উন্নয়নে তাঁর অবদানের পাশাপাশি রাজ্যের ভবিষ্যতের জন্য তাঁর অটল দৃষ্টিভঙ্গিকে তুলে ধরে, যা এই বইটিকে বিশ্বের অন্যতম সম্মানিত ব্যক্তিত্বের উল্লেখযোগ্য জীবন এবং নেতৃত্ব বোঝার জন্য যে কোনও ব্যক্তির জন্য একটি অমূল্য সম্পদ করে তুলেছে।