রিয়াদ, 19 ডিসেম্বর, 2024-সৌদি যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী আবদুল্লাহ আলসওয়াহা আজ রিয়াদে মালদ্বীপের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি অ্যান্ড টেকনোলজির প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোহাম্মদ কিনানাথের সাথে সাক্ষাত করেছেন। বৈঠকে প্রযুক্তিগত অগ্রগতির মূল ক্ষেত্রগুলিতে, বিশেষত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ডিজিটাল পরিকাঠামো এবং উদীয়মান প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সম্ভাব্য অংশীদারিত্ব এবং সহযোগিতামূলক সুযোগগুলি অন্বেষণের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়েছিল।
আলোচনার সময়, উভয় নেতা নিজ নিজ দেশের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে উদ্ভাবন এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের গুরুত্বের উপর জোর দেন। আলোচনাটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি চালাতে, সরকারী পরিষেবাগুলি উন্নত করতে এবং সামগ্রিক সামাজিক কল্যাণের উন্নতির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং উন্নত ডিজিটাল সমাধানগুলি ব্যবহারের ভাগ করে নেওয়ার দৃষ্টিভঙ্গিকে কেন্দ্র করে। উপরন্তু, শক্তিশালী ডিজিটাল পরিকাঠামো নির্মাণের লক্ষ্যে এই সহযোগিতা ভবিষ্যতের প্রযুক্তিগত অগ্রগতিকে সমর্থন এবং উভয় দেশের ডিজিটাল রূপান্তরকে সুরক্ষিত করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল।
মন্ত্রী আলসওয়াহা সৌদি আরবের ভিশন 2030-এর কথা তুলে ধরেছেন, যা ভবিষ্যতের রূপদান এবং জাতীয় উন্নয়নের অগ্রগতিতে প্রযুক্তির ভূমিকার উপর জোর দেয়। উদ্ভাবনের প্রচার, ডিজিটাল বাস্তুতন্ত্রের সম্প্রসারণ এবং প্রযুক্তিতে নিজেকে বৈশ্বিক নেতা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য রাজ্যের কৌশলগত উদ্যোগগুলি কথোপকথনের সময় কেন্দ্রীয় বিষয় ছিল। তিনি দ্বীপরাষ্ট্রের নির্দিষ্ট চাহিদা মেটাতে উপযুক্ত সমাধান তৈরি করতে মালদ্বীপের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেন।
ডঃ কিনানাথ প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সৌদি আরবের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং মালদ্বীপের নিজস্ব প্রযুক্তিগত সক্ষমতা জোরদার করতে রাজ্যের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন। উভয় পক্ষই একমত হয়েছে যে, একসঙ্গে কাজ করে তারা বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ, বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তন, নিরাপত্তা এবং টেকসই উন্নয়নের সঙ্গে সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলায় প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগাতে পারে।
বৈঠকে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্রমবর্ধমান গুরুত্বের ওপর জোর দেওয়া হয়। উভয় দেশ বৃহত্তর প্রযুক্তিগত সংহতির দিকে এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে এই অংশীদারিত্ব জ্ঞান বিনিময়, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং উদ্ভাবনী সমাধান তৈরির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সুবিধা নিয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে যা উভয় দেশের ভবিষ্যত গঠনে সহায়তা করবে।